Zakaria Street Ramzan Special Food Walk

Zakaria Street Ramzan Special Food Walk


নাখোদা মসজিদের ইতিহাস:

রমজান আসলেই কলকতাবাসী জাকারিয়া স্ট্রীট মুখো হয় আমরা সবাই জানি, কিন্তু কে এই জাকারিয়া? কার নামে এই জাকারিয়া স্ট্রীট? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে আমাদের শুরু করতে হয় নাখোদা মসজিদের গল্প থেকে। নাখোদা মসজিদ, কলকাতার সবথেকে বড় মসজিদ, অবস্থান মধ্য কলকাতার চিৎপুর বড়বাজার অঞ্চলে। আগ্রায় মোঘল সম্রাট ফৌজয়ানের দরগার আদলে বানানো নাখোদা মসজিদের তোলেপুর থেকে গ্রানাইট দিয়ে ভিত্তিপ্রস্তর হয় 11th September, 1926 সালে, যেখানে দশ হাজার মানুষ একসাথে নামাজ পড়তে পারেন।
এই অসাধ্য সাধনের কাজটা যে দুজন মানুষ নিজেদের কাঁধে তুলে নেন তারা হলে গুজরাটের কাচ্ছি মেমন জামাতের দুই নেতা জনাব আব্দুর রহিম ওসমান এবং জনাব হাজী নূর মহম্মদ জাকারিয়া। কলকাতা মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন যখন সিদ্ধান্ত নেয় বড়া মসজিদের পরিবর্তনে তারা আরো বড় আরো সুন্দর মসজিদ নির্মাণ করবেন, তখন এই দুজন মানুষ এগিয়ে আসেন এবং তখনকার সময়ে 15 লাখ টাকা সংগ্রহ করে নাখোদা মসজিদ নির্মাণ করেন।
"নাখোদা" একটি পার্সী শব্দ, এর অর্থ হল - স্থানীয় জাহাজ বা "Lord of the Ship" ও বলে অনেকে। সিংহল, মালদ্বীপ থেকে আনা শঙ্খ এবং কড়ি বিক্রির টাকা থেকেই নাখোদা মসজিদ বানানোর অর্থ সংগ্রহ করা হয়।
আর জনাব হাজী নূর মহম্মদ জাকারিয়া নিয়ে যদি বলতে হয় তাহলে বলব, জাকারিয়া পদবী এসেছে আর্মেনিয়ার জাকার থেকে যার অর্থ "God has remembered"। ওনার এই মহান কীর্তির জন্য চিৎপুর রোড থেকে যে সরু রাস্তা মহম্মদ আলী পার্ককে জোরে, সেই সুরতি বাগান লেনকে চওড়া করে নাম দেওয়া হয় জাকারিয়া স্ট্রীট 1928 সালে C.I.T scheme I A,B,C এর অধীনে।

এবারে আশা যাক, জাকারিয়া স্ট্রীট আমরা পৌঁছাবো কি করে? আর গিয়ে কী কী খাবো। সহজ রাস্তা মেট্রো। সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশনের 5 নং গেট দিয়ে বেড়িয়ে ডানদিকে চিত্তরঞ্জন এভিনিউ বরাবর হাটা শুরু করলে দ্বিতীয় ডান হাতের গলি যেটা Phears Lane হয়ে কলুতলার দিকে যাচ্ছে।
বুঝতে অসুবিধা হলে, ভিডিও লিঙ্ক দেওয়া রইলো, এটা দেখলে আশা করি আর বোঝার সমস্যা থাকবে না।


Phears Lane নিয়েও অনেক গল্প আছে, হাঁটতে হাঁটতে বলি, আর তার সাথে খাওয়া দাওয়া চলতে থাকুক। এই Phears Lane এর আগে নাম ছিল ছুনাম গলি, সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায়ের লেখা কলকাতা নামের ব্যুৎপত্তি বইতে তিনি উল্লেখ করেন এই ছুনাম গলিতে মূলতঃ চুনাপাথর বিক্রেতাদের বাস ছিল। ব্রিটিশরা আবার একে বলত ছুনাগলি। 1889-90 সাল নাগাদ কলকাতা মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন এই ছুনামগলির নাম পাল্টে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারক Sir John Bud Phear এর নামে নাম রাখে Phear's Lane। 1915 সালে প্রকাশিত P.M Bagchi-র street directory অনুযায়ী এখানে খাবারের দোকানের কথা উল্লেখ করা আছে। 1915 সাল, মানে আজ থেকে 104 বছর আগের কথা। হ্যাঁ, দোকানগুলো আজও আছে। 
150 বছরেরও বেশি পুরোনো দোকান Adam's Kebab Shop - দোকানের বর্তমান মালিকের নাম জনাব সালাউদ্দিন নিয়াজী। নিয়াজী সাহেবের ঠাকুরদা জনাব শুভানি মিঞা এই দোকান শুরু করেন, সালটা তিনি নিজেও বলতে পারলেন না। তারপর ওনার বাবা, জনাব আদম এই দোকানের হাল ধরেন। বলা যেতেই পারে, এটা বাবা আদমের জমানার দোকান। এই আদম সাহেবের নামেই দোকানের নাম, এখন সালাউদ্দিন নিয়াজী চালান দোকান, সাথে ওনার ছেলেও বসেন। কখনো কখনো গিয়ে ওনার 10/12 বছর বয়সের নাতিকেও দোকানে বসতে দেখি। Adam's Kebab Shop -এ গতবছর অবধি বীফ সুতা কাবাব আর বীফ বোটি কাবাব পাওয়া যেত। সুতা কাবাবের দাম ওই 25টাকা করে, এবছর সেটা 30 হয়েছে, আর বোটি কাবাব হয়েছে 40টাকা। এবারে পাবলিক ডিমান্ডে প্রথম তারা চিকেন মালাই আর মটন সুতা কাবাবও বানানো শুরু করেছে। কাবাবের দোকান দেখে ভক্তি না হলে, 6.30 এর থেকে 8টা অবধি ভীড় দেখে মনে লোভ জাগলে চেটে পুটে সপাত সপাত শব্দে সাটিয়ে দিন আরামসে শহরের সব থেকে পুরোনো কাবাবের দোকান থেকে। এরপর Phears Lane এর আরেকটি শতাব্দী প্রাচীন দোকান, হাজী আলাউদ্দীনের মিষ্টির দোকান। দোকানের পাশ দিয়ে গেলেই খাঁটি ঘিয়ের গন্ধে আপনার লোভী জিহ্বাকে "আজা আজা, ম্যায় হু প্যার তেরা" গান করে ডেকে নিয়ে ভেতরে ঢোকাবে। ঢোকার পরই চোখে মুখে আপনি খালি ছানা বড়ার বদলে মিষ্টি, গুলাবজামুন, হালুয়া দেখবেন। শুরু করুন ওদের মেওয়া লাড্ডু দিয়ে, তারপর পাঁচ রকমের হালুয়া। গাজরের হালুয়া, বাত্তিসা হালুয়া (বত্রিশ রকমের ড্রাই ফ্রুট থাকে বলে এই নাম। মোঘল দরবারে এই হালুয়া পেশ হতো এক সময়ে), আখরোটের হালুয়া, দুধের হালুয়া, আফলাতুন হালুয়া, দাম জিজ্ঞেস করলে ওরা বলে চারশো আসসি রুপিয়া কিলো। আমি একশো করে নেই আর থার্মোকলের প্লেটে লেগে থাকা শেষ কণা অবধি চাটতে থাকি। আমরা সাধারণত কলকাতায় বাংলার মিষ্টি খেয়ে থাকি, হাজী আলাউদ্দীনা কিন্তু আপনি মোঘলাই মিষ্টিরও খোঁজ পাবেন। যারা মিষ্টি খেতে ভালোবাসে তাদের কাছে হাজী আলাউদ্দীন স্বর্গ, একেবারে বৈকুন্ঠলোক যাকে বলে। এরপর ছোট ছোট বারো টাকা দামের খাঁটি ঘিয়ে ভাজা গুলাব জামুন। সত্যি কথা বলতে কি, অস্বীকার করে লাভ নেই, আমি জীবনে কোনো দিন এমনকি স্বপ্নেও মাধুরী দীক্ষিতের গালে চুমু খাই নি, কিন্তু হাজী আলাউদ্দীনের গুলাব জামুন খেয়েছি বাস্তবে, তাও একবার নয় - বহুবার। 

এবারে Phears Lane ধরে চলে আরেকটু এগোলে, কলুতলা ক্রসিংয়ে আছে Al Baik। 15টাকায় হাফ আর 30 টাকায় ফুল শিক কাবাব। আমূল ক্রিম আর মাখন মাখিয়ে দেবে, আপনার হাতে যখন এসে পড়বে প্লেটটা আপনি মনে মনে বলে উঠবেন,
Gar firdaus bar roo-e zameen ast,
Hameen ast-o hameen ast-o hameen ast.



















এবারে কলুতলা ক্রসিং থেকে বা দিকে গেলে দান হাতে কলুতলা মসজিদ পেড়িয়ে 50মিটার এগোলে বা হাতে প্লেটে আর খুঁড়িতে সাজানো ফিরনীর গামলা। দাম মাত্র পনেরো টাকা। তবে কোয়ালিটি যা, তাতে 50/60 টাকার ফিরনীকে কাথ করে 5 গোল আরাম সে খাইয়ে দেবে। সাত গোল বললাম না, ব্রাজিলের ফুটবল সাপোর্টাররা রেগে যাবে শুনলে, আর দশ গোল বললে ম্যাচ ফিক্সিং হয়ে যাবে। তাই পাঁচ গোল একদম ঠিকঠাক।


এবারে যেখানে ফিরনী খেলেন তার উল্টো দিলেন রাস্তা ধরে হাঁটলে আবার 50 মিটার হাঁটলে আরেকটা ফিরনীর দোকান। এখানে দাম 20টাকা। সাথে মালাই লস্যিও আছে। শাহী টুকরাও বানান, কিন্তু এখন শাহী টুকরা বানানোর কারিগর নেই। এই সব দোকানের কোনো নাম নেই। এখানে গিয়ে নিজেকে ভাস্কো দা গামা বা কলম্বাস ভেবে নিয়ে খুঁজতে থাকলে অনেক মনিমুক্ত আপনি পেয়ে যাবেন, তারপর আমার মত লিখে ফুটেজ খেতে পারবেন।


আবার ফিরে আসা যাক কলুতলা ক্রসিংয়ে। ওখান থেকে সোজা সরু গলি বরাবর হাটতে থাকলে আপনি যে দোকানে ধাক্কা খাবেন সেটা হলো দিলশাদ ভাইয়ের কাবাবের দোকান।চাররকমের বীফ কাবাব বানান। দাম কুড়ি টাকা করে। খিরি কাবাব (গরুর দুধের বাটের মাংস থেকে বানানো), গোস্ত কা দহী কাবাব, মালাই কাবাব, সুতা কাবাব। ওটা সাটিয়ে 80 টাকা দিয়ে কোম্পানী বাঁয়ে মুর।





বাঁয়ে মুরেই আপনি পাবেন ফালুদা শরবতের দোকান। দশ টাকায় ফালুদা শরবত। জলটা ঠিকঠাক, আমি খেয়ে হজম করেছি, পেট খারাপের কোনো সম্ভাবনা নেই। জাকারিয়া অভিযানে যখন বেরোবেন তখন মাথা থেকে কতগুলো ভুল ধারণা ঝেড়ে ফেলে দিন। "সস্তা মানেই খারাপ" - ভালো জিনিস মানুষের সহ্য হয় না, তাই এখানে এত কম দামে এত ভালো খাবার পাওয়া যায় বলে লোকে সন্দেহ করে। পরবর্তী ভুল ধারণা গুলোতে আসবো পরের দোকানগুলোতে খেতে খেতে।



ফালুদার শরবত খাওয়া শেষ হলে সামনের দিকে নাক বরাবর হাঁটুন। ওই আবার 50মিটারের মধ্যে মোড় পড়বে। মোড়ের মাথায় দোকান Al Habibi। no beef খাবারের দোকান। এই চত্ত্বরে যত দোকান পেয়েছি, সব দোকানেই মোটামুটি আফগানি, মালাই কাবাব আর ডবল ফ্রাইয়েড চিকেন কমন। এখানে একটা একটু অন্যরকম জিনিস পেলাম। রোস্টেড চিকেন উইথ বাটার গ্রেভি। হাফ নিলে 280টাকা। তন্দুরে মুরগী টাকে পুড়িয়ে তারপর তার উপর মাখন আর ক্রিম মাখিয়ে আপনাকে দেবে। এখানে একটা ছোট্ট টিপস দেই, পকেটে রুমালের সাথে রুমালী রুটি ক্যারি করুন। আরাম সে আট দশটা রুমালী সাপটিয়ে দেওয়া যাবে এর সাথে।

এটা খাওয়া হলে তার সামনেই বসেছে রোলার ফ্রুট আইসক্রিম। 10টাকা/ 20টাকা প্লেট। দেখলেই খেতে ইচ্ছে করে, ছোটবেলার মেলার কথা মনে পরে যায়।

এবার কোম্পানী ডায়ে মুর -
ডান দিকে হাটা শুরু করলে গুনেগুনে তিরিশ পা হাঁটলে ডান হাতে দেখবেন ইয়া বড় আস্ত একটা রুই মাছ ঝুলানো। ব্যস এখানে একটু দাঁড়াতে পারেন মাছ ভাজা আর মুরগী ভাজা খাবার জন্য, দুটোই 400 টাকা কেজি। দোকানের নাম Muradabadi Laziz Kebab। এরপর আবার সামনের দিকে হাঁটা। আবার ওই গুনেগুনে 70/ 80 পা হাঁটলেই আরেকটা মোড়। এই মোড়টাই হল জাকারিয়া স্ট্রিটের সেই মোড় যা আপনার খাবারের ধ্যান ধারণার মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে।



শুরু করা যাক মোড়ের প্রথম দোকান, Taskeen দিয়ে। নাম দুটো জব্বর দিয়েছে। মুর্গ চাঙ্গেজি আর মাহী আকবরী(কাতলা মাছ ভাজা)। চেঙ্গিজ খাঁ বা বাদশাহ আকবরের সাথে এদের কিন্তু কোনো সম্পর্ক নেই, খালী নামেই ভারিক্কি। 560টাকা কেজি ডবল ফ্রাইয়েড চিকেন। খেতে ভালো। লোকে এখানে যে ভুলটা করে সেটা হলো, জনশ্রুতি শুনে প্রথমবার যারা আসে, তারা শুনে আসে জাকারিয়ার সেরা দোকান হল taskeen। হেব্বি খেতে। ব্যস, দুম করে অনেকটা অর্ডার করে বসে লোকজন। তারপর তেলেভাজা বলে একটু খাবার পর মুখমেরে যায়। ব্যস, দুর্নাম শুরু- বাজে খাবার, বাজে দোকান অনেক দাম নেয় বেকার বেকার। আরে দাদা চুমু খেতে ভালো, তার মনে এই নয় যে আপনি খালি চুমুই খাবেন। বেশি চুমু খেলে ঠোঁটে হাজা হবারও সম্ভাবনা থাকে। যাক গে, ফোকটে আপনাদের বেশি জ্ঞান দিয়ে লাভ নেই, যার ভালো লাগবে না, সে আর আসবে না, দোকান একটু ফাঁকা থাকবে, আরাম করে বসে আমি অন্ততপক্ষে একটু আয়েশ করে খেতে পারবো। মাহী আকবরী আবার তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায়। এটা খেতে হলে একটু আগে যেতে হয়। এই দুটোর সাথে taskeen এর ফালুদা আর লস্যি অবশ্যই খেতে হবে। আগে taskeen খালি রমজানের সময়ই মুর্গ চাঙ্গেজি আর মাহী আকবরী বানাতো, এবছর থেকে ওরা সারা বছর ধরেই বানাবে বলেছে আর খুব শিগগিরি তন্দুর আইটেমও শুরু করবে বলে পরিকল্পনা চলছে। এবারে taskeen এর উল্টোদিকে একজন হালুয়া পরোটা নিয়ে বসে, হেব্বি খেতে, আমি ওখানে খাই না, বাড়ি নিয়ে এসে মাঝরাতে খিদে পেলে খাই আর নয়তো পরের দিন সকালে ব্রেকফাস্টে। 20টাকায় 250গ্রাম দেয়। কি করে এত কম দামে এত ভালো জিনিস দেয় এই প্রশ্নটা করার আগে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে প্রশ্ন করুন, আপনার মত একজন ভুলে ভরা মানুষকে আপনার প্রেমিকা/ বউ এত কেন ভালোবাসে? উত্তর পেয়ে যাবেন। 


এরপর taskeenএর উল্টো দিকের মোড়ে আছে bombay hotel। কলকতার সেরা বীফ চাপ এখানেই পাওয়া যায়। 70টাকায় যা দেয় তাতে 3টে তন্দুরী রুটি দিয়ে এক প্লেট চাপ সাবাড় করে দেওয়াই যায়।

চাপ শেষ করে আবার আসা যাক taskeenএর পাশের দোকান dilli 6 এর আফগানি চিকেনে। মনে পরে, শারজাহ তে 24শে এপ্রিল, 1998 এর কোকাকোলা কাপ। মরুঝড়ের মাঝে সচিনের 131 বলে 143 রানের ঝড়, যেখানে 5টা 6 ছিল। হ্যাঁ.....দিল্লী 6 এর আফগানি চিকেনটা অনেকটা সেরকম। 560 টাকায় গোটা মুরগী, আর হাফ 280 টাকায়। সাথে রুমালী রুটির বদলে নিন শীরমল। পারস্য বা বর্তমানের ইরান থেকে মোঘলদের হাত ধরে ভারতে শীরমল ঢোকে, এখন লখনৌ, হায়দ্রাবাদ সহ দেশের প্রায় সব জায়গাতেই শীরমল পাওয়া যায়। কলকাতাতে dilli 6 বানায়। স্বাদে মিষ্টি আর ওপরে মাখনের প্রলেপ। 

dilli 6 এর উল্টো দিকে আছে শিমাই এর দোকান। 25টাকা প্লেটে গরম দুধ দিয়ে দেয়। খারাপ না, ভালোই বেশ। এক আধ দিন শরীরে একটু দুধ ঢোকা উচিত তবে না বাড়িতে গিয়ে বলতে পারবো, আজ রাতে খাবো না - দুধ শিমাই খেয়ে পেট ভরে গেছে। আপনার মা-ও ভাববে যাক ছেলে রাস্তায় ভালো কিছু খেয়েছে।


জাকারিয়াতে বীফ চিকেন সবই আছে, যার যেমন পছন্দ খেতে পারেন। সাথে ভিডিও লিংক দিয়ে দিলাম। যারা বীফ পছন্দ করেন না, তারা নন বীফ দোকানগুলো বেছে বেছে গিয়ে খেতে পারেন সহজেই।
Courtesy : Purono Kolkatar Golpo ( Facebook Group)
Arpita Chanda di
Bibhash Gupta Sir, Purono Kolkatar Golpo
Abhimanyu Chakraborty da
Zakaria Street in a Nutshell

Comments

Popular Posts